গ্রামের নাম ছিল নয়াপাড়া। সেখানে আসিফ নামে এক ছাত্র থাকতো, যে লেখাপড়ায় গুরুত্ব দিত না। সে ভাবতো, পড়াশোনা করে কি হবে? জীবন তো মাঠে কাজ করেই চলে।
একদিন, রহিম স্যার ক্লাসে নতুন একটি পাঠ্যবই এনেছিলেন। তিনি বললেন, “এ বই তোমাদের জীবন বদলে দিতে পারে।” আসিফ হেসে উড়িয়ে দিল, “স্যার, বইয়ের কি দরকার? মাঠে কাজ করলেই তো চলে।”
কিছুদিন পর, রহিম স্যার আসিফকে একা ডেকে বললেন, “আসিফ, তুমি কি জানো, শিক্ষার মাধ্যমে আমরা নতুন কিছু শিখি এবং সামনে এগিয়ে যাই?” আসিফ বললো, “কেন? আমি তো বেঁচে আছি।”
তবে একদিন, আসিফের পিতা অসুস্থ হয়ে পড়লেন। চিকিৎসকের কাছে নিতে হলে অর্থের প্রয়োজন ছিল। আসিফ বুঝতে পারলো, সে মাঠের কাজ করে যা আনে, তা দিয়ে চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারবে না। তখন তার মনে হলো, যদি সে লেখাপড়া করতো, তবে হয়তো ভালো চাকরি পেতে পারতো।
তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, স্যারকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইবেন এবং লেখাপড়ায় মনোযোগ দেবেন। রহিম স্যার তাকে উৎসাহ দিলেন এবং পরের দিন থেকে আসিফ নিয়মিত ক্লাসে আসতে শুরু করলো।
মাসের পর মাস, আসিফ পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলো। পরবর্তীতে সে একজন চিকিৎসক হয়ে উঠল। তার পিতা ভালো হয়ে গেলেন এবং আসিফ গ্রামের মানুষের সেবা করতে লাগলেন।
রহিম স্যার হাসিমুখে বললেন, “আসিফ, তুমি আমাদের গ্রামকে গর্বিত করেছো। লেখাপড়া আসলে আমাদের সম্ভাবনা খুলে দেয়।”
এভাবে আসিফ শিখলো, লেখাপড়া কেবল তথ্য নয়; এটি জীবনের পথে অগ্রসর হওয়ার চাবিকাঠি।