দরুদ পাঠের অনেক অনেক ফজিলত রয়েছে।
দুরূদ শরীফ-এর ফযীলত
*রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘ঐ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার উপর বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করে।’ (তিরমিযী হাদীস নং-৪৮৩/ শু‘আবুল ঈমান হাদীস নং-১৪৬২, ২০৫৬)
*রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। (মুসতাদরাকে হাকেম হাদীস নং-২০৫৬)
*রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘আল্লাহ তা‘আলা বহু সংখ্যক ফেরেশতা এ কাজের জন্য নিয়োজিত রেখেছেন যে, তাঁরা জমীনে বিচরণ করতে থাকবে এবং আমার উম্মতের যে ব্যক্তি আমার উপর দুরূদ ও সালাম পাঠাবে (তাঁরা) তা আমার নিকট পৌঁছে দিবে।’ (নাসাঈ হাদীস নং-১২৮২/ শু‘আবুল ঈমান বায়হাকী হাদীস নং-১৪৮০)
* হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, ফেরেশতাগণ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে তার নাম উল্লেখ করে দুরূদ পেশ করে থাকে। (শু‘আবুল ঈমান বায়হাকী হাদীস নং-১৪৮২)
* নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি সকালে আমার উপর দশবার দুরূদ পড়বে এবং সন্ধ্যায় দশবার দুরূদ পড়বে কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশ করব। (ত্ববারানী আউসাত হাদীস নং-৫২৩, মাজাউয যাওয়ায়িদ ১০ : ১২০)
* উবাইদুল্লাহ বিন উমর কাওয়ারী রহ. বর্ণনা করেন, আমার প্রতিবেশী একজন কাতিব ছিলেন। তার ইনতিকালের পর স্বপ্নে তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ তা‘আলা আপনার সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন? তিনি উত্তর দিলেন- আমাকে মাফ করে দিয়েছেন। আমি কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি উত্তরে বললেন, কিতাব লেখার সময় যখনই নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক আসত, তখনই হুযূরের নামের সাথে সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম লেখা আমার অভ্যাস ছিল। এর বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে এমন নিয়ামত দান করেছেন, যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি, কোন অন্তর কখনো তার কল্পনাও করেনি।
সূত্র: কিতাবুস সুন্নাহ : মুফতি মনসূরুল হক
রহমত প্রাপ্তির এক বিশাল মাধ্যম
প্রশান্তি লাভের সহজ উপায়
এটি এমন একটি আমল যা সহজে কবুল হয়